মোঃ ফরহাদ হোসেন নিজস্ব প্রতিবেদক:
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্ণা এলাকায় বিয়ের দাবীতে নাজমুল ইসলাম নামের বিবাহিত এক যুবকের বাড়িতে তিনদিন ধরে অনশন করেছেন খাদিজা আক্তার সেতু (১৭) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থী।
গত ২০ জুলাই সন্ধ্যায় বিয়ের দাবীতে সিন্দুর্ণা এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে নাজমুল ইসলাম (২২) এর বাড়িতে ওঠেন পাটিকাপাড়া এলাকার আমিনুর রহমানের মেয়ে অভিযোগকারী ওই স্কুলছাত্রী।
হাফিজিয়া মাদ্রাসার লজিংবাড়িতে যাতায়াতের সুবিধা নিয়ে চারবছর নাজমুল ইসলামের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে অভিযোগ তুলেছে অনশনরত ওই স্কুলছাত্রী।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে নাজমুলের পরিবারের লোকজন বলছেন, সে ওই মেয়ের বাড়িতে লজিং ছিল। তার সাথে নাজমুলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে প্রমানও সে দেখাতে পারেনি।
জানা গেছে নাজমুল ইসলাম ২০২০ সালে করোনার আগে অনশনরত ওই স্কুলছাত্রীর বাড়িতে লজিং হিসেবে ছিলেন। চার বছর ধরে নাজমুলের সাথে তাদের সম্পর্ক ছিল বলেও অভিযোগ উঠেছে।
অনশনরত ওই স্কুলছাত্রী জানান, মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে পনেরো পারা হাফেজ হওয়ার পর নাজমুলের বাড়িতে দাওয়াত খেতে আসেন খাদিজাসহ তার পরিবারের লোকজন। সেখানে আরও তিন পারা মুখস্থ হওয়ার পর নাজমুল মাদ্রাসা থেকে বাড়ি চলে আসেন।
মেয়েটি আরও জানায়, তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক থাকার কারনেই সে নাজমুলকে বিয়ের দাবীতে বাড়িতে এসেছে। নাজমুলের সাথে বিয়ে না হলে আত্মহত্যার হুমকিও দেয় মেয়েটি।
পাটিকাপাড়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ ওহির মাহমুদ জানান, আড়াই মাস আগেও মেয়েটি এই বাড়িতে বিয়ের দাবীতে এসেছিল। তখন সিন্দুর্ণা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও পাটিকাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবুল আলম সাদাতের হস্তক্ষেপে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
সিন্দুর্ণা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিন জানান, দুই-আড়াইমাস আগে মেয়েটি ওই ছেলের বাড়িতে বিয়ের দাবীতে এসেছিল, পরে পাটিকাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও দুই পরিবারের লোকজনসহ আলোচনার পর কোন প্রমাণ না থাকায় মেয়েটিকে তার বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
তিনদিন অনশনের পর শনিবার (২২ জুলাই) বিকেলে মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় হাতীবান্ধা থানা পুলিশ।